Thursday, January 30, 2014

" কিস্তিমাত "

ঝিমধরা দুপুরে একঘেয়েমি বিষ্টিটা ক্ষণে ক্ষণে একটা সম্মোহন ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে ...
আর তাতে একটু আনমনা হয়ে যেতেই হয়।
সেই সুত্র ধরেই ছুটির দিনে দুপুরবেলা সবেমাত্তর কয়েকটুকরো আমলকি মুখে দিয়ে বারান্দার আরাম কেদারায় গা হেলিয়ে শুলাম। ভাবলাম একটু গান ধরি, পুরনো অভ্যেস তাই গুনগুনিয়ে গেয়েও ফেল্লাম দু-কলি -

" মনটা যে আসল রাজা, আমি রাজা নই "

হঠাত ঝোপ থেকে প্রায় লাফিয়ে রোগা মতোন এক ছন্নছাড়া মন্ত্রী এসে বল্লে -
" মহারাজ দাবাখেলা শুরু "
যুদ্দু আসন্ন ...

আমি বল্লেম " তা তো ঠিকই "
মন্ত্রী বল্লে " ঘোড়া, গজ, বড়মন্ত্রী, ছোটমন্ত্রী সক্কলে যে ছুটে আসছে " -
আমি " হু " বলেই খানিকক্ষণ গম্ভীর হয়ে চুপ করে বসে রইলাম।

মন্ত্রী বল্লে " ওরা রাজাকে আড়াল ভেঙে বের করতে চাইছে, চলুন আমরা রাজাকে লুকিয়ে ফেলি "
আমি বল্লেম " রাজা যে ঘুমুচ্ছে "
মন্ত্রী অমনি দুলে দুলে মাথা নেড়ে বল্লে " সব্বোনাশ আজ বাদে কাল যুদ্দু হবে আর রাজা ঘুমুচ্ছে? "
আমি বল্লেম " দূর ছাই  কি সব আবোল তাবোল বকছ - আমি জটিল জটিল সব অঙ্ক কষে দেখলেম এখনই যে ঘুমনোর উত্তম সময় "
তাই তো রাজা নারকোলকরা দিয়ে মানকচু বাটা, মুগের ডাল, কুচো চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট, কাকরোল ভাজা, সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ মাছ আর বিলাতি আমড়ার চাটনি সহযোগে চাড্ডি ভাত খেয়ে সবেমাত্তর ঢুলুঢুলু চোখে দিবানিদ্রা গেছেন-

অমনি মন্ত্রী ঘাড় বেঁকিয়ে হুংকার দিয়ে বল্লে " শুধু অঙ্ক কষে ঘুমোতেই শিখেছেন, সাধারণ জ্ঞান পড়েননি?
-  সাধারণ জ্ঞান বইতে আলেকজান্ডার কি বলেছিলো - বিনা যুদ্ধে না দিবো সুচাগ্র মেদিনী
তাই চলুন মন টাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কোথাও লুকিয়ে রাখি, পরে নাহয় মেঘের আড়াল থেকে মেঘনাদ হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে যুদ্দু যুদ্দু হবে "

আমি বল্লেম " না লুকালে কি হবে? "
মন্ত্রী বল্লে " ওরা যে জটিল কুটিল চাল চেলে রাজাকে ধরে ফেলবে "
আমি বল্লেম " রাজাকে ধরে ফেললে কি হয়? "
মন্ত্রী বল্লে -

" কিস্তিমাত "

শব্দটা কট করে কানে বাজলো আর অমনি ধড়ফর করে জেগে উঠে দেখি কোথায় মন্ত্রী কোথায় দাবাখেলার ঘোড়া, গজ, বড়মন্ত্রী, ছোটমন্ত্রী?

মনটা তো সেই রাজার মতোই ধড়ের উপর চেপে বোসে আছে,
শুধু দুপুর গড়িয়ে বিকেলের নিভে আসা আলো খামখেয়ালী ভাবে আলপনা এঁকে যাচ্ছে রাজবাড়ির দেওয়ালে ...

Tuesday, August 6, 2013

পাগলের গল্প

আজ বাড়ি ফেরবার পথে একজন পাগলের সাথে দেখা হলো -
না আমায় সে মোটেও পাত্তাতাত্তা দেয়নি - আমিই তাকে দেখছিলাম ...
বাস ধরবো বলে চিত্পুর রোডের রাস্তায় দাড়িয়ে আছি দেখি কোত্থেকে হঠাত করে এই পাগল বাবাজি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আমার কাছে  চলে এলো -
মুখে এমন এক্সপ্রেশান যেন প্রচন্ড ব্যস্ত ঠিক হেড অফিসের বড়বাবু 
আলগা গায়ে লুঙ্গি পরা, কাঁধে আবার একটা মেয়েদের লম্বা ঝোলা ব্যাগ নিয়েছে -
কোত্থেকে জোগার করেছে কে জানে? সেই ব্যাগের ভিতরে আবার যত রাজ্যের গাছের ডালপালা পাতা ভর্তি করে রাখা আছে ...
গায়ের রং ফর্সাই তবে বহুদিন চান করেনি, তাই মাটি জমে জমে সেই রং এখন শ্যামবর্ণ -
গালভরা ধুসর দাড়িগোঁফ নিয়ে তামাটে মুখখানা বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে একদম প্রাগৈতিহাসিক হয়ে গেছে
সে যাই হোক লোকটি আমার সামনের একটা লাইট পোস্টের সামনে এসে দাড়ালো,
মুখে একরাশ বিরক্তির ছাপ
তারপর হাত দুটোকে মাথার উপর জড়ো করে নমস্কার করে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কিসব " আং  মাং ঝাং " বকতে লাগলো - তারপর হাততালি দিলো
এরপর আমার ঠিক পাশে একটা মৌসুম্বী লেবুর সরবতের দোকান ছিল,
সেখানে এসে দাড়িয়ে হাতের কেড়ো আঙ্গুল দিয়ে দুটো মৌসুম্বী লেবুকে ঘষতে লাগলো আর আবার সেই বিড়বিড় করে কিসব " আং  মাং ঝাং "   বকতে লাগলো

তারপর সেকি হাসি? আমি তো সব অবাক হয়ে দেখছি 
তারপর পাগলটা হটাত বেশ গর্বিত গর্বিত মুখ করে লেবু দুটোকে নমস্কার করে হনহন করে কোথায় যেন চলে গেলো
রাস্তাঘাটে কোনো আজব লোক দেখলে অথবা তার সাথে পরিচয় হলে আমি তার কথা খাতায় লিখে রাখি
তাই আজও এই পাগলটার কথা লিখে রাখলাম
তাছাড়া পাগল দের নিয়ে আমার খুব ছোটবেলা থেকেই কেমন একটা আকর্ষণ,
ওরা কোথায় থাকে?
ওদের নাম কি?
ওদের কেই বা খেতে দেয়?
যাদের বাড়ির পাগল তারা কি কখনো ওদের খোজ নেয় না?
এইসব আর কি ...
পাগল দেখলেই মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার রহস্য গল্পের লেখা গুলো,
মনে হয় পাগল মানেই " সিবিআই অফিসার "
কি জানি আজকের এই পাগলটাও হয়ত কোনো সিবিআই অফিসার, এই ঘটনাটাই হয়ত তার কোনো " প্লান "
মাঝে মাঝেই মনে হয় এইসব পাগলদের পিছু পিছু গিয়ে সব জেনে ফেলি, কিন্তু বাস্তবিকতার জন্য তা আর হয়ে ওঠে না, আজও এই পাগলকে জানা হলো না
তাই মনে মনে একটা প্রশ্ন খচখচ থেকেই গ্যালো ...
এর আগেও আমি অনেক পাগল দেখেছি
একজন কে দেখতাম সে শুধু রাস্তায় সারাদিন ছাতা মাথায় দাড়িয়ে থাকতো, নড়তনা চড়তনা কথা বলত না শুধু ছাতা মাথায় দাড়িয়ে থাকত , উনি ছিলেন ছাতা পাগল ...

আবার ছোটবেলায় আমার বাড়ির পাশে এক পাগল থাকতো, সে শুধু সারাদিন পাচিলের উপর বসে মুখ দিয়ে " জাম জাম জাম জাম জাম " শব্দ করতো -
সত্যি কতোই না পাগল আছে এই পৃথিবীতে
আমার তো মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি নিজে যদি পাগল হতে পারতাম তালে খুব কাছ থেকে পাগলের জীবনযাত্রাটা উপলব্ধি করতে পারতাম
কিন্তু ওরকম দুম করে বললেই তো আর পাগল  হওয়া যায় না?
তাই কি আর করা মনের ভিতর সেই খচখচ প্রশ্নটাকে রেখেই বাড়ি ফিরে এলাম, আর রাস্তার সেই নামগোত্রহীন অদ্ভুত পাগল থেকে গেলো আমার রাফ খাতার পাতায় …

রথযাত্রা লোকারণ্য, মহা ধূমধাম

রাত পোহালেই রথ
আর সেই সুত্র ধরে একটা দীর্ঘ জীবনের পর বিকেলের নিভে যাওয়া আলোর পথ ধরে আমি বাড়ি ফিরছি ।
সেই চেনা শহর, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষের ভিড়, দ্রুত পথচলা, বাস, ট্রাম, ট্যাক্সির রোজকার শব্দ, আর লাল-সবুজ ট্রাফিক সিগন্যালের আলো । একটা ধুলোমাখা ক্যানভাসের মতো এই ছবিগুলোকে কাঠের চৌকোনো ফ্রেমে সাজিয়ে বাসের জানলা দিয়ে শহর দেখতে দেখতে বাড়ি ফিরতে আমার বেশ লাগে ।
“ আমি দেখতে ভালবাসি “ ।
বর্ষার এই মরশুমটায় রিমঝিম রুমঝুমেরা মাঝে মাঝেই নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ বিকেলের এক পশলা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট সব ভিজে আছে, দু-ধারের ফুটপাথে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছে । আর কখন জানি এসবের মধ্যে একটুখানি জায়গা ভাগ করে নিয়েছে লাল হলুদ সবুজ কাঠের তৈরী একতলা - দোতলা - তিনতলা রথগাড়িগুলো ও মাটির খুদে খুদে ছোট্ট তিন ভাই বোনের দল মানে আমাদের প্রানের ঠাকুর জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা । এ যেন উত্সবের শহর …

ছোটবেলায় শুনেছিলাম রথ উত্সবে নাকি জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা তাদের মাসীর বাড়ি ঘুরতে যায়, তবে একটু বড় হতে মানে এই ক্লাস সেভেন এইটে উঠে বুঝলাম  রথ উত্সব মানে বাংলায় ভাবসম্প্রসারণ । ওই যে বাংলা পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতো না -

‘‘ রথযাত্রা লোকারণ্য, মহা ধূমধাম
ভক্তেরা লুটায়ে পথে, করিছে প্রণাম
পথ ভাবে ‘আমি দেব’, রথ ভাবে ‘আমি’
মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’, হাসে অন্তর্যামী ’’

কি কঠিন ছিলো, আমি কোনদিন লিখতে পারিনি ...
যাইহোক ছোটোবেলায় আমার ঐরকম একটা তিনতলা কাঠের রথ ছিল আর সেটা বাপ্পার টিনের রেলগাড়িটার মত পাই পাই করে ছুটতো । রথের ঠিক আগের দিন দুপুর বেলা এবং পরের দিন সকালেও দাদা রঙিন কাগজ কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিত রথের গায়ে, তারপর হাতে তৈরী রঙিন কাগজের ফুল, মালা আর রং বেরঙের পাতাবাহারি গাছের পাতা দিয়ে আমার রথটা কি সুন্দর সেজে উঠতো । বিকেল হলেই সেই রথ নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম পাড়ার রাস্তায়, বড় পুকুর টার চারপাশে একপাক ঘুরে দাদার হাত ধরে এসে দাড়াতাম বড় রাস্তার মোড়ে । সন্ধ্যের আলোয় সেখানে নেমে আসতো রথের মেলা ।

আবার কৈশোরে রথ উত্সব বলতে বুঝলাম রাধারানীর প্রেম,
মানে সেই বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানী - চির অভাগী রাধারানীর গল্প  -
যে পীড়িত মায়ের পথ্যের জন্য বনফুল দিয়ে মালা গেঁথে বৃষ্টি ভেজা রথের মেলায় বেচতে এসে রুক্মিণীকুমার রায়ের প্রেমে পড়ে - সেই গল্প ।

এখন রথের দিন ছুটি থাকলে ভাইপো টার জন্য রথ সাজিয়ে দিই, ঠিক আমার ছোটবেলার মতো করে । দুপুরে ঘুমিয়ে কাটাই, সন্ধ্যে হলে পাড়ার দোকান থেকে পিঁয়াজি, আলুর চপ আর গোটা গোটা পাপড়ভাজা কিনে এনে সবাই মিলে  হই হই করে ভাগ করে খাই । পাপড়ভাজা রোজ ঘরে হলেও বাইরের পাপড়ভাজার একটা আলাদা স্বাধ গন্ধ থাকে যেটা অসাধারণ । বিশেষত এই রথের দিন পাপড়ভাজা খাওয়া অনেকটা বিজয়ার কোলাকুলির মতো অনন্য । আসলে আমাদের মতো হুজুগে বাঙালিরাই জানে উত্সবের রূপ-রস-গন্ধ টা ঠিক কি?


রথ উত্সবের আরেকটা  বৈচিত্র হলো এই দিনেই বনেদী বাড়িগুলোতে দুর্গাপুজোর সূচনা ঘটে, মা দুর্গার কাঠামো পুজো হয় । এই দিন থেকেই হয়ত বাঙালি দুরু দুরু বুকে রোজ রাতে শুতে যাবার সময় ক্যালেন্ডারে দিন গোনা শুরু করে । অফিস ফিরতি পথে কুমোরটুলি পাড়ার সেই স্যাতসেতে ভেজা এঁদো গলিটায় আমার যাতায়াত বাড়তে থাকে ।
সেই ছোট্টবেলা থেকেই ঠাকুর গড়া দেখতে আমার বড্ড ভালো লাগে । আমার মতো আশায় বাঁচে যে সব চাষা  তাদের কাছে পুজোর থেকেও পুজোর এই অপেক্ষা অনেক বেশী  আনন্দের, অনেক বেশী প্রিয় । তাই আগামীকাল রথের দড়িতে টান পড়ুক, উত্সবের সুচনা হোক । চারপাশ আনন্দে মেতে উঠুক আর আমার মন জুড়ে থাকুক একরাশ খুশীর অপেক্ষা .........

রাত্রি ঘন হলে

-- তারপর রাত্রি ঘন হলে

চাঁদের যদি আলো গোনা যায়

আমি তখন ঘর বাড়ি সব ছেড়ে

পথে নামি

ভোরের ঠিকানায় --

ভোর

জাগছে শহর ভোরের আলোয়,

ঘুমিয়ে গেছে রাতি -

নিভছে যত রাত্রিজাগা,

লক্ষ তারার বাতি - 

একটা মশাল আগুন জ্বালায়,

ওই যে পূবের কোনে -

শহরটাকে রাঙিয়ে তোলে,

নিজেই আপন মনে :)

নিভিয়ে রাখো মোমবাতি

ঘন ঘন ডাকছো কেন?

আমি যে মরে গেছি -

নিঃশব্দে থাকতে দাও,

নিভিয়ে রাখো মোমবাতি

আমি অতি সাধারণ

আমি মাখি মাটি

মাটি চাপা জীবন, শুধু 

মাটির উপর খাটি ...

দ্য স্টোরি অফ লায়ন / লাইফ - এনিম্যাল প্লানেট

এইমাত্তর একটা খুব সুন্দর প্রোগ্রাম দেখলাম টিভিতে -
( দ্য স্টোরি অফ লায়ন  / লাইফ - এনিম্যাল প্লানেট )
আফ্রিকার মাসাইমারার জঙ্গলে এক গ্রীষ্মের শুরুতে একটা ছোট্ট সিংহ জন্মালো,
মা সিংহের দুধ খেয়ে, কচি কচি হরিনের মাংশ খেয়ে সে আসতে আসতে বড় হতে লাগলো, একটু বড় হতেই মায়ের লেজ বাবার কেশর কামড়ে, টেনে তার সে কি খেলা ...
এইভাবে দিন চলছিল বেশ !!
তারপর সিংহটি কিশোর হতেই পুরো পরিবারটা কেমন যেন পাল্টে গেলো !!
দলের রাজা মানে বাবা সিংহ তাকে ভয় দেখিয়ে, মেরে দল থেকে, বাসস্থান থেকে বহু দুরে তাড়িয়ে দিলো -
এরপর সিংহটা প্রায় একা একাই কিছু ছোট শিকার ধরে খেয়ে একবছর বেঁচে রইলো,
এবং আরো তেজি ও হিংস্র পুরুষ সিংহ হয়ে উঠলো আর খুব সহজেই জঙ্গলের এক অন্য বৃদ্ধ সিংহকে লড়াই তে হারিয়ে তার রাজ্যপাট, তার সিংহী দের কব্জা করলো -
কিছুদিনের মধ্যে শুরু হলো নতুন ঘর সংসার, একদিন কোনো দল থেকে বিতারিত সিংহটাই এখন নতুন একটা দলের রাজা ও সর্বময় কর্তা হযে সুখে দিন কাটাতে লাগলো -
এইভাবে তার অধীনে আফ্রিকার মাসাইমারার জঙ্গলে একের পর এক গ্রীষ্ম কাটে, বর্ষা নামে, বসন্ত আসে ...
আসতে আসতে সেই সিংহও বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে পরে -
হঠাত একদিন অন্য একটি যুবক, তেজি ও হিংস্র পুরুষ সিংহ এসে তাকে লড়াইতে হারিয়ে দল থেকে তাড়িয়ে দেয় -
এরপর সে আবার একা হয়ে পরে, বৃদ্ধ ও দুর্বল তাই কোনদিন শিকার ধরতে পারে তো খাবার জোটে তো কোনদিন খেতেই পায় না - আসতে আসতে সে আরো রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে পরে, ভালো চোখে দেখতে পারে না ...
আর একদিন ঠিক বসন্তের শেষ দিকে সে জঙ্গলের অনেক দুরের একটা ফাঁকা গুহায় এসে আশ্রয় নেয় -
কিছুদিন পর দেখা গেল গুহার মুখে অসংখ্য শকুন আর গুহার ভিতরে সেই মৃত সিংহের দেহবশেষ ...
আফ্রিকার মাসাইমারার জঙ্গলে তখন শুরু হতে চলেছে নতুন এক গ্রীষ্ম ...